Bioplasgen®-02/বায়োপ্লাসজেন®-০২

 

 

 

Bioplasgen® ব্যাচ ০২ মূলত Asthma (এজমা/হাঁপানী) এর জন্য।

 

 

         Compositions: 1 tablet contains-

Calcium phosphoricum 3X 25 mg;

Ferrum phosphoricum 3X 25 mg;

Natrium muriaticum 6X 25 mg;

Kalium phosphoricum 3X 25 mg;

Excipients Q.S. to 104 mg.

 

কার্যকারীতাঃ

সাধারণত হাঁপানীর লক্ষণ সাদৃশ্যে এবং বায়োকেমিক চিকিৎসার মূল সূত্রানুসারে বায়োকেমিক ঔষধগুলির সঠিক শক্তি ও মাত্রার মিশ্রন Bioplasgen® ব্যাচ ০২ প্রয়োগে বিশেষভাবে ফলপ্রদ। শ্বাসকষ্ট এবং মনে হয় বুক আটকে ধরছে, রোগী শুয়ে থাকতে পারে না, উঠে বসতে বাধ্য হয়, কাশতে কাশতে অস্থির হয়ে পড়ে, বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই শব্দ করে এবং টেনে টেনে শ্বাস নেয়, শ্লেষ্মা যত বেশী আঠাল ও শক্ত হবে রোগীর কষ্ট তত বেশী হবে, প্রভৃতি লক্ষণ সাদৃশ্যে Bioplasgen® ব্যাচ ০২ অত্যন্ত কার্যকর।

 

সেবন বিধিঃ প্রাপ্তবয়স্ক- 8টি এবং শিশু- ২টি করে ট্যাবলেট দিনে ৪ বার অথবা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।

 

Side Effects:

None known to date. Please note: Existing complaints may temporarily get worse when homoeopathic medicines are taken (initial aggravation). In such cases, a doctor should be consulted and the medication discontinued if necessary.

 

ডাঃ নাজির আহমেদ শামীম এর চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন অথবা পরামর্শ নিতে পারেন। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় অ্যাজমা আরোগ্য হয়। আরোগ্য হতে সময় লাগবে। তবে নিয়ম মেনে চললে ও ধৈর্য্য ধরে ওষুধ খেলে, আরোগ্য হবেন ইনশাআল্লাহ। কম সময়ের মধ্যেও সুস্থ্য হতে পারেন রোগের ধরন বা রোগীর অবস্থা অনুসারে। ওয়েবসাইট ছাড়াও আমাদের এই https://www.facebook.com/naturalhealthcareBD18 পেজে যুক্ত থাকতে পারেন। 

অ্যাজমা বা হাঁপানি সম্পর্কে জানুনঃ

হাঁপানি একটি শ্বাসকষ্ট সম্বলিত রোগ। এটি শ্বাসনালীর অসুখ। এর ইংরেজি নাম অ্যাজমা; যা এসেছে গ্রিক শব্দ Asthma থেকে। বাংলায় হাঁপানি। যার অর্থ হাঁপান বা হাঁ-করে শ্বাস নেয়া। হাঁপানি বলতে আমরা বুঝি শ্বাসপথে বায়ু চলাচলে বাধা সৃষ্টির জন্য শ্বাসকষ্ট (Dyspnoea)। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ এবং সংবেদনশীলতায় স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় যাকে বলে হাঁপানি বা অ্যাজমা। অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট এমন একটা রোগ যার নির্দিষ্ট কোন কারণ জানা না গেলেও চিহ্নিত করা হয় প্রধানত ২ টি কারণকে।

১) ‘এটোপি’ বা বংশগত (Genetic) ও ‘এলার্জি’ পরিবেশগত উপাদান এবং

২) শ্বাসনালীর অতি-সক্রিয়তা (Bronchial hyper-responsiveness)।

 

পৃথিবীজুড়ে ৩০ কোটি লোক অ্যাজমায় আক্রান্ত, যা ২০২৫ সাল নাগাদ ৪০ কোটিতে পৌছবে। বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ। যার মধ্যে ৪০লাখই শিশু। ৬৫% মানুষের আক্রান্ত হবার কারণ এলার্জি। যুবক বয়সে অ্যাজমা আক্রান্তের হার ১৫%। পেশাগত ভাবে ‘potent sensitizer’ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫-২০% এজমায় আক্রান্ত হয়।

 

অ্যাজমা রোগের লক্ষণ চেনার উপায়ঃ

– শ্বাসকষ্ট, সাথে শুকনো কাশি।

– শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাঁশির মতো সাঁ সাঁ শব্দ।

– হঠাৎ দমবন্ধ ভাব অনুভব করা।

– ধুলোবালি বিশেষভাবে ঘরের ধুলো, ঠাণ্ডা কিংবা গরমের কারণে শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট।

– ঋতু পরিবর্তনের সময় শ্বাসকষ্ট।

– বিটাব্লকার বা অ্যাসরিন জাতীয় ওষুধ খেলে শ্বাসকষ্ট।

 

 

 

চিকিৎসার জন্য দরকার প্রথমেই রোগ নির্ণয়। রক্ত পরীক্ষায় বিশেষত ইয়োসিনোফিল এবং সিরাম আইজিইয়ের মাত্রা বেশি আছে কিনা দেখা হয় অ্যাজমা নির্ণয়ে এবং এলার্জির জন্য স্কিন প্রিক টেস্ট করা হয়। এ পরীক্ষায় রোগীর চামড়ার ওপর বিভিন্ন এলার্জেন দিয়ে পরীক্ষা করা হয় এবং এ পরীক্ষাতে কোন কোন জিনিসে রোগীর এলার্জি আছে তা ধরা পরে। বুকের এক্স-রে করে দেখা হয় যে অন্য কোন কারণে রোগীর শ্বাসকষ্ট কি না তা জানতে। কিছু কিছু বিষয়ে সচেতনতা হাঁপানি থেকে দূরে রাখে।

১. এলাজেন পরিহার: অ্যাজমার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ পন্থা হলো যে জিনিসে এলার্জি তা যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলা। তাই এজমা রোগীদের প্রথমেই এলার্জি টেস্ট করে জানা দরকার তার কিসে কিসে এলার্জি হয়।

২. ওষুধপত্র: নানা ধরনের হাঁপানির ওষুধ আছে। প্রয়োজন মতো ওষুধ ব্যবহার করে রোগী সুস্থ থাকতে পারেন। সাধারণত দুই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়।

ক) শ্বাসনালির সঙ্কোচন বন্ধ করতে ওষুধ ব্যবহার করা।

খ) প্রদাহ নিরাময়ের ওষুধ ব্যবহার করা।

৩. এলার্জি ভ্যাকসিন বা ইমুনোথেরাপি: এলার্জি দ্রব্যাদি থেকে এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিনও অ্যাজমা রোগীদের সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। এ পদ্ধতি ব্যবহারে কর্টিকোস্টেরয়েড অনেক কমে যায়। ফলে কর্টিকোস্টেরয়েডের বহুল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ ভ্যাকসিন পদ্ধতি চিকিৎসাকে এজমার অন্যতম চিকিৎসা বলে অভিহিত করে। এটাই অ্যাজমা রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ থাকার একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি। বর্তমানে বাংলাদেশেও এ পদ্ধতিতে চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হয়।

 

পুরাতন জমে থাকা ধূলো বা ময়লা হাঁপানীর জন্য ক্ষতিকর। কারণ, এতে মাইট, ফুলের রেণু, তুলার আঁশ, পোষা প্রাণীর লোম, ব্যাকটেরিয়া এবং বিভিন্ন প্রকার ছত্রাক মিশে থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, মাইটের কারণেই প্রধানত ধূলোবালি অ্যাজমা রোগীদের জন্য বিপজ্জনক। এটি হচ্ছে এক প্রকার অর্থোপড জীব। এই পোকা এত ছোট যে খালি চোখে দেখা যায় না। আর্দ্রতাপূর্ব আবহাওয়া মাইট বড় হওয়ার এবং বংশবৃদ্ধির যথোপযুক্ত পরিবেশ। আর এর বাসস্থান হচ্ছে মানুষের ব্যবহৃত বিছানা, বালিশ, কার্পেট। মাইটের শরীর থেকে নির্গত মল, লালা, রস ধূলার সঙ্গে মিশে মানুষের শ্বাসের সাথে দেহে প্রবেশ করে এ্যালার্জির সৃষ্টি করে যা কিনা পরে হাঁপানীতে রূপ নেয়।

 

প্রতিকারের উপায়ঃ

১. এলার্জি কারক বস্তু এড়িয়ে চলুন। যেমন- ধুলো-বালি, ঘরের ঝুল, ধোঁয়া ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।

২. ঘর বাড়িকে ধুলো বালি থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করা। এজন্য দৈনিক অন্তত একবার ঘরের মেঝে, আসবাবপত্র ভেজা কাপড় দিয়ে মুছতে হবে অথবা ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করা।

৩. ঘরে কার্পেট রাখবেন না। বালিশ, তোষক, ম্যাট্রেস এ তুলা ব্যবহার না করে স্পঞ্জ ব্যবহার করা।

৪. রেণু এলাকা থেকে বাসায় ফিরে মাথার চুল ও কাপড় ধুয়ে ফেলুন।

৫. শীতকালে যথা সম্ভব গরম পানিতে গোসল করা। ঠাণ্ডা খাবার, আইসক্রিম ইত্যাদি খাবেন না

৬. ধূমপান করবেন না। মানসিক চাপের কারণকে এড়িয়ে চলুন।

৭. যেসব খাবারে এলার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তা পরিহার করে চলুন।

৮. পরিশ্রম কিংবা খেলাধুলার কারণে শ্বাসকষ্ট বাড়লে চেষ্টা করতে হবে পরিশ্রমের কাজ কম করতে।

৯. রেণু এলাকা থেকে বাসায় ফিরে মাথার চুল ও কাপড় ধুয়ে ফেলুন।

১০. পেশাগত কারণে অ্যাজমা হলে চেষ্টা করতে হবে স্থান কিংবা পেশা পরিবর্তন।

১১. কুকুর, বিড়াল বাগান থেকে রেণু বহন করতে পারে। এজন্য নিয়মিত কুকুর বিড়ালকে গোসল করানো প্রয়োজন।

 

 

বি.দ্রঃ আমাদের কাছে 'বায়োপ্লাজেন (Bioplasgen)' এর সকল ব্যাচ পাওয়া যায়। অর্ডার করতে পেজে বা হোয়াটসঅ্যাপ এ নাম, ঠিকানা, Bioplasgen ব্যাচ নং ও পরিমান সহ মেসেজ করুন।