এটি এক প্রকারের মসলা। লবঙ্গ গাছের ফুলের কুড়িকে শুকিয়ে লবঙ্গ মসলাটি তৈরি করা হয়। অনেক জায়গায় এটি “লং”নামে পরিচিত।
চলুন জেনে নেয়া যাক লবঙ্গের বিশেষ কিছু গুণঃ
১) মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে লবঙ্গ তুলনাহীন। কয়েকটি লবঙ্গ মুখে নিয়ে চিবালেই আপনার নিঃশ্বাস হয়ে উঠবে তরতাজা।
২) লবঙ্গতে রয়েছে একাধিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ যা যেকোনও ধরনের জীবাণুকে মেরে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো সংক্রমণের থেকে দূরে থাকতে অনেকেই নিয়মিত লবঙ্গ খেয়ে থাকেন।
৩) বমি বমি ভাব দূর করতে গুঁড়ো লবঙ্গের সাথে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। আরাম পাবেন।
৪) সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা হোক কিংবা অ্যাজমা, সাইনাস ইত্যাদির সমস্যায় দিনে কয়েক কাপ লবঙ্গ-চা খেলে রোগের উপশম হবে। লবঙ্গ পানিতে ফুটিয়ে চা তৈরি করে নেবেন, ঠিক যেভাবে আদা চা তৈরি করেন।
৫) প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করলে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল একটি কাপড়ে বা টিস্যুতে দিয়ে কপালের ওপরে দিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট রেখে সরিয়ে ফেলুন। মাথা ব্যথা কমবে।
৬) দাঁত ব্যথা করলে কয়েকটি লবঙ্গ থেঁতো করে আক্রান্ত স্থানে দিয়ে রাখুন, দাঁত ব্যথার নিশ্চিত উপশম হবে।
৭) প্রচণ্ড স্ট্রেস ও উৎকণ্ঠা অনুভব করছেন? -এক টুকরো লবঙ্গ মুখে ফেলে চুষে চুষে খেয়ে ফেলুন। পান করতে পারেন লবঙ্গের চা ও। মেজাজ ফুরফুরে হয়ে উঠবে।
৮) ব্রণ দূর করতে লবঙ্গ তুলনা নেই। তাজা লবঙ্গের গুঁড়ো সামান্য মধুর সাথে মিশিয়ে ব্রণের ওপরে দিয়ে রাখুন। ব্রণ দূর হবে।
৯) লবঙ্গের তেল আপনার নিয়মিত ব্যবহারের তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে চুল পড়া কমবে এবং চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে।
১০) গর্ভবতী মায়েরা সকালের বমি বমি ভাব দূর করতে লবঙ্গ চুষতে পারেন। শুধু লবঙ্গ মুখে ভালো না লাগলে সামান্য গুড় মিশিয়ে নিতে পারেন। সকাল বেলাটায় অনেক স্বস্তি বোধ করবেন।
১১) হাঁটুতে, পিঠে বা হাড়ের কোন জয়েন্টে ব্যথা করলে বেশ কিছু লবঙ্গ নিন। সেগুলোকে হালকা আঁচে তাওয়ায় টেলে নিন। এই টেলে নেয়া লবঙ্গকে কাপড়ে বেঁধে একটি পুঁটলি তৈরি করুন। গরম থাকতেই এই পুঁটলি দিয়ে আক্রান্ত স্থানে সেঁক দিন। ব্যথা কমে যাবে।
১২) নিয়মিত এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খাওয়া শুরু করলে ক্যান্সারের মতো রোগ দূরে থাকতেও বাধ্য হয়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে।
সকল ধরণের স্বাস্থ্য পরামর্শ ও টিপস পেতে আমাদের পাশে থাকবেন।
কমেন্ট করে মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না এবং বেশি বেশি শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ!