আজকে আমরা জানবো বায়োপ্লাসজেন® ব্যাচ – ০১ কি কারণে এবং কোন কোন রোগের কারণে আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন। সাথেই থাকুন, সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন—
শুরুতেই Bioplasgen®– 1 সম্পর্কে জানা যাক,
Compositions: 1 tablet contains-
- Calcium phosphoricum 3X 25 mg;
- Ferrum phosphoricum 3X 25 mg;
- Natrium muriaticum 6X 25 mg;
- Kalium phosphoricum 3X 25 mg;
- Excipients Q.S. to 104 mg.
,
Indications:
Traditionally used as supportive treatment in Anaemia. Indications: Lack of blood due to indigestible food and living in unhealthy quarters. Continuous loss of blood from any part of the body. Cerebral and spinal Anaemia. A general wasting of the tissues; waxy appearance of the skin: chlorosis; palpitation; tremor and weakness. Anaemia of the brain from prolonged mental strain.
কার্যকারিতাঃ
সাধারণত রক্ত স্বল্পতার লক্ষণ সাদৃশ্যে এবং বায়োকেমিক চিকিৎসার মূল সূত্রানুসারে উপরোক্ত বায়োকেমিক ঔষধগুলির সঠিক শক্তি ও মাত্রার মিশ্রন Bioplasgen® No. 1 প্রয়োগে বিশেষভাবে ফলপ্রদ। পরিপাক ক্রিয়ার অভাব, অল্পাহার, অনাহার, পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব, দীর্ঘকাল স্থায়ী প্রচুর রক্তস্রাব, পুরাতন উদরাময়, আমাশয়, অর্শ রোগ, লিভার ও স্প্লিনের বৃদ্ধি, অতিরিক্ত মাসিক স্রাব ও প্রদর স্রাব এবং অধিক সন্তান প্রসবের ফলে সৃষ্ট রক্ত স্বল্পতায় Bioplasgen® No. 1 অত্যন্ত কার্যকর।
সেবন বিধিঃ
প্রাপ্তবয়স্ক- ৪ টি এবং শিশু- ২ টি করে ট্যাবলেট দিনে ৪ বার অথবা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
Side Effects:
None known to date. Please note: Existing complaints may temporarily get worse when homoeopathic medicines are taken (initial aggravation). In such cases, a doctor should be consulted and the medication discontinued if necessary.
রক্ত স্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া সম্পর্কে জানুনঃ
বেশিরভাগ উন্নয়নশীল দেশেই অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতাকে অবহেলা করা হয়। যদিও এটি জনস্বাস্থ্যজনিত সমস্যাগুলোর অন্যতম। আমাদের দেশে অ্যানিমিয়াকে পাবলিক হেলথ প্রবলেম হিসেবে শনাক্ত করা হলেও এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি ও প্রতিরোধে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাই প্রতি বছরই রক্তশূন্যতাজনিত জটিলতায় মারা যাচ্ছে অনেক মা ও শিশু। অ্যানিমিয়ার প্রায় ৫০ শতাংশই হয়ে থাকে আয়রনের অভাবে এবং এতে বিশ্বে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ প্রতিবছর মারা যাচ্ছে, যার চারভাগের তিনভাগ মৃত্যু ঘটে আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়।
অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা কি?
আমাদের শরীরে রক্তের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান লোহিত রক্তকণিকা, আর লোহিত রক্তকণিকার প্রাণ হচ্ছে হিমোগ্লোবিন। এই হিমোগ্লোবিনের কাজ হলো ফুসফুস থেকে দেহকোষে অক্সিজেন পরিবহন করা। আবার আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন অক্সিজেন। কোনো কারণে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বা পরিমাণ কমে গেলে সেই অবস্থাকে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা বলা হয়।
হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা কতটুকু?
বয়স ও লিঙ্গ অনুসারে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা ভিন্ন। সাধারণত জন্মের সময় নবজাতক শিশুর দেহে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ থাকে ২০০ গ্রাম/লিটার। পরবর্তীকালে তিন মাস বয়স থেকে তা কমতে থাকে এবং প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। পরে প্রাপ্ত বয়সের সময় হিমোগ্লোবিন আবার বাড়তে শুরু করে। পুরুষদের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা ১৩০-১৮০ গ্রাম/ লিটার আর মহিলাদের ক্ষেত্রে ১১৫-১৬৫ গ্রাম/লিটার। এ ক্ষেত্রে পুরুষ কিংবা মহিলা যেই হোক যদি কারো হিমোগ্লোবিনের ৭০ কিংবা ৮০ গ্রাম/লিটার হয়ে থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে মারাত্মক অ্যানিমিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
অ্যানিমিয়ার লক্ষণ বা উপসর্গগুলো কি কি?
বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই অ্যানিমিয়ার নির্দিষ্ট লক্ষণ শনাক্ত করা সম্ভব হয় না, কিংবা লক্ষণ দেখে অ্যানিমিয়া রোগী চিহ্নিত করা যায় না। তবে এ ক্ষেত্রে বেশকিছু লক্ষণ প্রায় একই সঙ্গে থাকলে রক্ত পরীক্ষা করা খুবই জরুরি।
* শরীর ফ্যাকাশে থাকবে ও প্রচুর ঘাম হবে। * বুক ধড়পড় করবে। * নাড়ির স্পন্দন দ্রুত হবে।
* মাথা ঘোরার সঙ্গে মাথা ব্যথাও থাকবে। * চোখে ঝাপসা কিংবা কম দেখবে। * মুখের কোণে ও জিহ্বায় ঘা।
* লৌহের অভাবজনিত সমস্যা কইলোনশিয়া। * দুর্বলতা ও ক্লান্তিভাব। * হজমে সমস্যা।
* পুরো শরীর ফুলে যাওয়া। * পা ফুলে যাওয়া। * শ্বাসকষ্ট।
* অনিদ্রা কিংবা ঘুম কম হওয়া। * এনজাইনা। * হৃৎপিন্ড বড় হয়ে যাওয়া।
* দ্রুত হার্টবিট। * সিস্টোলিক ফ্লো মার মার ইত্যাদি।
অ্যানিমিয়ার কারণগুলো কি কি?
দেহের হিমোগ্লোবিনে বিদ্যমান আয়রনই ফুসফুসে অক্সিজেন সংগঠিত করে ও দেহ কোষে এনার্জি বা শক্তির জন্য সেই অক্সিজেন ছড়িয়ে দেয়। তাই, আয়রনের অভাবকে অ্যানিমিয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। কারণগুলো হচ্ছে-
* অপর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন উৎপাদন। * অতিমাত্রায় লোহিত রক্তকণিকার ধ্বংস।
* কৃমি, বিশেষ করে হুকওয়ার্মের কারণে সৃষ্ট আয়রনের অভাব ও রক্তক্ষরণ। * অতিরিক্ত মাসিক স্রাব।
* ঘন ঘন গর্ভধারণ ও স্তন্যদান। * ফলিক এসিড, ভিটামিন এ ও ভিটামিন বি-১২ এর অভাব।
* থ্যালাসেমিয়া অর্থাৎ জন্মগতভাবে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সমস্যা। * গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারি।
* হাইপোথইরয়ডিজম। * লিভার সমস্যা। * ম্যালেরিয়া জ্বর। * অ্যালকোহল পানীয় গ্রহণ। * মলের সঙ্গে রক্তক্ষরণ ইত্যাদি।
অ্যানিমিয়ার প্রকটতাঃ-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরিপের মাধ্যমে পাওয়া গেছে, বিশ্বের প্রায় ২ শত কোটি মানুষ অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত। অ্যানিমিয়াকে মারাত্মক জনস্বাস্থ্য বিপর্যয় হিসেবে ধরা হবে যখন এর মাত্রা যে কোনো শ্রেণীতে বা পর্যায়ে শতকরা ৪০ ভাগের নিচে থাকবে। এ ক্ষেত্রে গর্ভবতী মা ও ২ বছরের কম বয়সী শিশুরা অ্যানিমিয়ার আশঙ্কাজনক বিপর্যয়ের তালিকায় থাকবে। কেননা অন্য প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় এদের আয়রনের চাহিদা একটু বেশি হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় অ্যানিমিয়ার প্রকটতা অনেক। বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালে প্রায় প্রতি বছরই মারা যাচ্ছে গর্ভবতী মা ও শিশু।
চিকিৎসাঃ
অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতার চিকিৎসা প্রায় এর প্রতিরোধ ব্যবস্থাই। অ্যানিমিয়া হলে প্রচুর আয়রন, ভিটামিন ও ফলেটযুক্ত খাদ্য ও ওষুধ সেবন করতে হবে। তবে অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সেই অনুযায়ী চিকিৎসা ও সেবা প্রয়োজন। তাই অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতার ব্যাপারে অসচেতনতা বা উদাসীনতা পরিহার করার সময় এখনই, নয়তো প্রতিদিনই ঘরে ঘরে মারা যেতে পারে গর্ভবতী মা ও নিষ্পাপ শিশু।
বি.দ্রঃ আমাদের কাছে 'বায়োপ্লাজেন (Bioplasgen)' এর সকল ব্যাচ পাওয়া যায়। অর্ডার করতে পেজে বা হোয়াটসঅ্যাপ এ নাম, ঠিকানা, Bioplasgen ব্যাচ নং ও পরিমান সহ মেসেজ করুন।