🌿 করোসল: প্রকৃতির এক অবিশ্বাস্য ক্যান্সার প্রতিরোধী উপহার

করোসল গাছের ফলপাতাবাকল সবকিছুই অবিশ্বাস্যভাবে প্রাকৃতিক ক্যান্সার কোষ প্রতিরোধী। অন্যদিকে, করোসল ফল গ্রহণে কেমোথেরাপির মতো চুল পড়ে না, উপরন্তু ক্যান্সার কোষ দমনকারী। প্রচলিত মেডিক্যাল চিকিৎসা সেবার মতো ক্যান্সার প্রতিরোধে এই ফলের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই নেই। করোসল এ প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে।


🔬 করোসলের ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণাগুণ

করোসল ফলের ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণাগুণ মানুষ প্রথম জানতে পারে ১৯৭৬ সালে। গবেষণায় করোসলে এমন কিছু কেমিক্যাল পাওয়া গেছে যা কিনা কেমোথেরাপিতে ব্যবহৃত Adriamycin থেকে দশ হাজার গুণ বেশি কার্যকর।

করোসল গাছের ফল, পাতা, বাকল সবকিছুই অবিশ্বাস্যভাবে প্রাকৃতিক ক্যান্সার কোষ প্রতিরোধী। অন্যদিকে, করোসল ফল গ্রহণে কেমোথেরাপির মতো চুল পড়ে না, উপরন্তু ক্যান্সার কোষ দমনকারী। প্রচলিত মেডিক্যাল চিকিৎসা সেবার মতো ক্যান্সার প্রতিরোধে এই ফলের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই নেই।

করোসল এ প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। এর এন্টিব্যাকটেরিয়াল সক্ষমতার জন্যে এর থেকে তৈরি তেলকে ব্রণ ও ফোঁড়া প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়।  এই তেল প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ যেমন ফ্ল্যাভোনয়েডোস, পলিফেনল ও স্যাপনিন্স। এরা এন্টি এজিং প্রতিরোধে সহায়তা করে।


🍃 করোসল পাতার অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা

✅ উচ্চমাত্রার Vitamin C থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
✅ এর তেল ব্রণ ও ফোঁড়া প্রতিরোধে কার্যকর
Flavonoids, PolyphenolsSaponins থাকায় ত্বকের সৌন্দর্য ও এন্টি-এজিং-এ সহায়তা করে
রক্ত বিশুদ্ধকরণে উপকারী
লিভার সমস্যা, আর্থরাইটিস, প্রোস্টেট সমস্যা প্রতিরোধে পাতাও কার্যকর


🥣 করোসল কিভাবে খাবেন

🔸 করোসল অন্যান্য ঔষধি ফলের মতো তীব্র ও কটূ গন্ধযুক্ত। এর কাঁটাযুক্ত বহিরাবরণ খাওয়ার অনুপযোগী।

🔸 চামড়া তুলে ফেলে এর ভেতরের অংশ চামচ দিয়ে তুলে খাওয়া যায়। তরমুজের মতো বীজ ফেলে দিয়ে খেতে হয়। এছাড়াও এটি খুব বিষাক্ত। এর বীজ খুব দামী, ফেলে না দিয়ে নতুন চারা তৈরি করতে পারেন।

🔸 করোসল ফ্রিজিং করে এটি দিয়ে পানীয় তৈরি করা যায়। এছাড়াও পশ্চিমা দেশে ডেজার্ট তৈরিতেও এটি ব্যবহার করা হয়।

🔸 করোসল ফল পাতা বাকল সব কিছু ১০০% ক্যা*ন্সার প্রতিরোধী

🔸করোসল গাছে রয়েছে অ্যানোনাসিয়াস অ্যাস্টোজেনিন নামে এক ধরনের যৌগ।

🔸 এই যৌগ ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধিরুখে দেয়, যা কেমোথেরাপি করে। ফলে ক্যান্সার কোষ আর বাড়তে পারে না। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, প্রোসটেট ক্যান্সারে, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এটি বেশি কার্যকর।

🔸 এছাড়া নিয়মিত এই ফল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যায়। শরীর চাঙ্গা থাকে এবং দুর্বল ভাব আসে না। রক্তকে শোধিত করতেও এই ফলের গুণ অনস্বীকার্য। শুধু ফলই নয়, এই গাছের ছাল ও পাতায় লিভার সমস্যা, আর্থরাইটিস ও প্রোসটেট সমস্যাও নিরাময় হয়ে যায়।


⚠️ সতর্কতা

  • করোসলের বীজ খাওয়া উচিত নয়, কারণ এতে বিষাক্ত যৌগ রয়েছে।

  • অতিরিক্ত খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, তাই পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করুন।