প্রাচীন কাল হতে ছোট এলাচ মসলা হিসেবে দৈনন্দিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মসলা হিসেবে ছোট এলাচের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অধিকাংশ দেশে ভেষজ বিজ্ঞানীরা ছোট এলাচ নিয়ে গবেষণা করে এর কার্যকারিতা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। ইউনানী, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিভিন্ন ওষুধের ফর্মুলায় এর ব্যবহার প্রচুর দেখা যায়। উল্লেখ করা যেতে পারে- আনোশদারো, জওয়ারিশ নারমুশক, জওয়ারিশ পুদিনা, মা’জুন জালালী, মা’জুন আযারাকী, শরবত মিছালী, শরবত আমলা, সফূফ সুযাক, কুরছ কুন্দুর, কুরছ রিয়াহীন, হাব্বে জদওয়ার প্রভৃতি। এ সব গুরুত্বপূর্ণ ওষুধগুলো অনাদিকাল হতে ইউনানী চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত আস্থার সাথে ব্যবহার করে আসছেন। এগুলোর কার্যকারিতা আজ বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত।
প্রধান অঙ্গসমূহের শক্তিবর্ধক, যৌনউদ্দীপক, শুক্রাণু সৃষ্টিকারক, স্নায়ুবিক শক্তিবর্ধক, রুচিকারক, পাকস্থলী ও বৃক্কের শক্তিবর্ধক।
রোগ প্রতিকারের ছোট এলাচের ব্যবহারঃ
১। শ্বাসকষ্ট, কাশি প্রশমনেঃ ৩ গ্রাম ছোট এলাচ, ৩ গ্রাম বাসক পাতা, ৩ গ্রাম তুলসী পাতা, ১ গ্রাম পিপুল, ৩ গ্রাম যষ্টিমধু ও ১ গ্রাম লবঙ্গ নিয়ে আধাচূর্ণ করে ৫০০ মিলি(আধা লিটার) বিশুদ্ধ পানিতে ৬-৭ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পরবর্তীতে জ্বাল দিন। ১০০ মিলি অবশিষ্ট থাকতে চুলা হতে নামিয়ে ছেকে নিয়ে প্রয়োজনমতো চিনি মিলিয়ে একবারে সেবন করে ফেলুন। উক্ত উপাদানসমূহ আধা লিটার পানিতে পুনরায় ভিজিয়ে রেখে উল্লেখিত নিয়মে বিকালে কিংবা রাত্রে সেবন করুন। এভাবে নিয়মিত কিছুদিন সেবন করে গেলে কাশি, শুষ্ক কাশি, শ্বাসকষ্ট, ব্রংকাইটিস ও বক্ষের ব্যথায় বিশেষ সুফল পাওয়া যায়।
২। হজমশক্তি ও বমন নিরসনেঃ ১০০ গ্রাম ছোট এলাচ, ৫০ গ্রাম শুঁঠ(শুকনো আদা), ৫০ গ্রাম জৈন, ২৫ গ্রাম দারুচিনি, ৩৫ গ্রাম মোটা বচ ও ২৫ গ্রাম বিটলবণ নিয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করে শুকিয়ে মিহিচূর্ণ করে চেলে বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করুন। আহারের পর দিনে ২ বার ১ চা চামুচ করে নিয়মিত সেবন করলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়, ক্ষুধা বারে, বমন ও পেটফাঁপা চলে যায়।