Joint pain/ জয়েন্ট পেইন বা গাঁটে ব্যথা

 

জয়েন্ট পেইন বা গাঁটে ব্যথা একটি সাধারণ রোগ।  পৃথিবীর বহু মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত। যাদের সারা দিন অফিস কিউবকলের ডেস্কে বসে কাজ করে যেতে হচ্ছে, তাদের অনেকেই জয়েন্ট পেইনের সমস্যায় ভুগছেন। এদের মধ্যে মহিলারা সংখ্যায় বেশি। বেশির ভাগই কাঁধ বা হাঁটুর ব্যথায় ভুগছেন। ব্যাপারটিকে অবহেলা করা চলবে না। সময় মতো চিকিত্‍সা না করালে নি-রিপ্লেসমেন্টেরও প্রয়োজন হতে পারে। তবে রোজকার জীবনযাপনে কিছু বদল এনে জয়েন্ট পেইনের খানিকটা হলেও ভালো করা যেতে পারে।

 

. যত দিন যাচ্ছে আমরা সেকেন্ডারি লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। বেশিরভাগ কাজই তো ডেস্কে বসে করতে হয়। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হয় না। এটাই জয়েন্ট পেইনের গোড়াপত্তন। প্রতিদিন আট-নয় ঘণ্টা বসে থাকতে থাকতে মাসলগুলিও ফ্লেক্সিবিলিটি হারিয়ে ফেলে। রোজকার জীবনযাপনে এই সমস্যার সমাধান হলে, জয়েন্ট পেইনের সমস্যার অনেকটাই মোকাবিলা করা যাবে। ফলে যতটা সম্ভব, এরই মধ্যে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিজ বাড়ান। প্রতিদিন কতটা ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি করতে পারছেন, তার একটা হিসেবও রাখুন।

 

. একইভাবে এক নাগাড়ে বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না। সর্বোচ্চ বিশ মিনিট অন্তর একবার করে উঠে দাঁড়ান। খানিকক্ষণ এইভাবে দাঁড়িয়ে থেকে আবার বসে কাজ করা শুরু করুন। যারা ডেস্কে বসে কাজ করেন, তারা কিন্তু এই টিপসটি কোনো মতেই অবহেলা করবেন না। একনাগাড়ে অনেকক্ষণ বসে থাকার পরে কয়েক সেকেন্ড বা মিনিট খানেকের এই বিরতি আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে আবার স্বাভাবিক করে তুলবে। নতুন করে কাজ করার এনার্জি পাবেন।

 

 

. স্ট্রেচিং খুব জরুরি। রোজ আধ ঘণ্টা স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করুন। তবে সারাদিনই কিন্তু এই স্ট্রেচিং চালিয়ে যেতে হবে। কাজের ফাঁকে-ফাঁকে একটা স্ট্রেচিং খুব কার্যকরী। হাত দুটো কোমরে রেখে যতটা পারা যায় পিছনের দিকে ঝুঁকুন। চেয়ারে বসেই সামনের দিকে ঝুঁকে হাত দুটো দিয়ে পায়ের পাতা ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। চেয়ারে বসেই কোমরের টুইস্ট করতে পারেন। ঘাড়ের কিছু সাধারণ এক্সারসাইজ কাজের ফাঁকে চালিয়ে যান। টানটান সোজা হয়ে বসে কাজ করুন।

 

. কাজের ফাঁকে ব্রেক নিয়ে বাইরে হেঁটে আসুন। ফোন সেরে নিন হাঁটার সময়। বেশি অসুবিধা হলে ডাক্তার দেখান।