আলুর পুষ্টিগুণ / Nutritional Value of Potato

 

আজকাল ডায়েটের হুজুগে অনেকে আলু খাওয়া ছেড়েই দিচ্ছেন। অথচ আলু ওজন আদতেই বাড়ায় কি-না, এ নিয়ে এখনও সংশয় আছে। কারণ, আলুর পুষ্টিগুণ অন্যান্য সবজি থেকে কোনো অংশেই কম নয়। বরং শিশুদের জন্য আলু একটি অত্যাবশ্যক খাবার। আলুতে একদিকে যেমন ভাতের মতো শর্করা আছে, তেমনি সবজির মতো আঁশ, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম আলুতে পাবেন- শর্করা ১৯ গ্রাম, খাবার আঁশ ২.২ গ্রাম, উদ্ভিজ্জ প্রোটিন ২ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.৫২ গ্রাম, যার মধ্যে পটাশিয়াম লবণই ০.৪২ গ্রাম এবং ভিটামিন ০.০২ গ্রাম।

 

 

রোগ প্রতিরোধে আলু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। জেনে নিন কিছু জরুরি তথ্য-
১. আলু শরীরের ভেতরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আলুতে থাকা ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-বি আমাদের শরীরের দুর্বলতা সারাতে সাহায্য করে।
২. আলুতে কোনো চর্বি বা ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে। অথচ এতে আছে লোহা ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। এই দুটি খনিজ উপাদান হার্টের অসুখ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৩. আলুতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকায় এটি শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে।
৪. আলু রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি উপকারী খাদ্য। আবার এক ধরনের প্রোটিনেস ইনহেবিটর থাকায় এটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।

৫. নিয়মিত আলু খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া থাকে না।
৬. আলু থেকে প্রাপ্ত শক্তি লাইকোজেন হিসেবে মাংসপেশি ও লিভারে সঞ্চিত থাকে। তাই, শারীরিক ব্যায়ামের ক্ষেত্রে বিশেষ করে খেলোয়াড়দের জন্য আলু একটি উত্তম খাদ্য।
৭. আলু কম মাত্রায় সোডিয়ামযুক্ত, প্রায় ফ্যাটমুক্ত ও সহজে হজমযোগ্য। আলুকে বলা হয় স্কার্ভি ও রিউমেটিক প্রতিরোধক। আলুর প্রোটিন কিডনি রোগীদের জন্য উপকারী।
৮. ডায়রিয়া হলে আলু খেলে সহজে ঘাটতি পূরণ হয় এতে অতিরিক্ত ক্যালরি থাকার কারণে। শিশুদের জন্য আলু খুবই সহায়ক খাদ্য।
৯. আলুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখ ও শরীরে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং ত্বকের দাগও দূর করে। ব্রণ নির্মূলেও আলু বিশেষ সহায়ক।